বাংলাদেশ ইসলামিক ল রিসার্চ এন্ড লিগ্যাল এইড সেন্টারের উদ্যোগে পরিচালিত
বাংলাদেশ ইসলামিক ল’ রিসার্চ এন্ড লিগ্যাল এইড সেন্টার-এর আয়োজনে
প্রশিক্ষণের বিষয়সমূহ : গবেষণা প্রস্তাবনা, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, থিসিস লিখন, রেফারেন্স সিস্টেম, সেমিনার প্রবন্ধ রচনার কৌশল, একাডেমিক জার্নালে প্রবন্ধ প্রকাশের প্রক্রিয়া।
উল্লেখিত গবেষণার পদ্ধতি ও প্রায়োগিক কৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়-এর পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ তারেক এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রুহুল আমিন রব্বানী। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি/এমফিল গবেষক ও মাস্টার্স এর অর্ধশত শিক্ষার্থী উক্ত ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেন।
ট্রেনিং শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ শামছুল আলম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের পফেসর ড. মুহাম্মদ তারেক, মানারাত ইন্টারনেশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রুহুল আমিন রব্বানী এবং বাংলাদেশ ইসলামিক ল’ রিসার্চ এন্ড লিগ্যাল এইড সেন্টার-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনাব শহীদুল ইসলাম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান
কর্মশালায় প্রথম সেশন পরিচালনা করেন বিশিষ্ট গবেষক ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এইচ এম জেহাদুল করিম এবং দ্বিতীয় সেশন পরিচালনা করেন ইসলামিক ল’ রিসার্চ সেন্টার-এর সহকারি পরিচালক ড. মুহাম্মদ রুহুল আমিন রব্বানী। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহনকারীদের হাতে সনদ তুলে দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া। এই কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল ও পিএইচডিতে গবেষণারত তিনশতাধিক গবেষক অংশগ্রহণ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান বলেন, একসময় মুসলমানরাই ছিল জ্ঞান-গবেষণায় অগ্রগামী। নতুন নতুন উদ্ভাবন ও গবেষণার মাধ্যমে মুসলিম মনীষীগণই বিশ্বকে আলোর পথ দেখিয়েছেন কিন্তু এক্ষেত্রে এখন শুন্যতা তৈরী হয়েছে। মুসলমানরা এখন জ্ঞান-গবেষণা ত্যাগ করে নানা কুসংস্কার ও গোড়ামিতে নিমজ্জিত। গবেষণার মাধ্যমে যাবতীয় অন্ধকার দূর করে ইসলামের সর্বজনীন কল্যাণ ও সৌন্দর্য তোলে ধরা ইসলামিক স্কলার ও গবেষকদের কাজ। তিনি বলেন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও গবেষকগণ ইসলামী গবেষণার শুন্যতা পূরণে সক্ষম হবেন বলে আমি আশা করি।
বর্তমান সময়ের চাহিদা পূরণে “গবেষণার রীতি ও কৌশল” শীর্ষক কর্মশালা আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ ইসলামিক ল’ রিসার্চ সেন্টার ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের এই কর্মশালায় বিপুল সংখ্যক গবেষকের অংশ গ্রহণ খুবই আশাব্যাঞ্চক, এই উদ্যোগ গবেষণার ক্ষেত্রে মাইল ফলক হয়ে থাকবে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে একাডেমিক গবেষণা শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ ইসলামিক ল’ রিসার্চ এন্ড লিগ্যাল এইড সেন্টার-এর উদ্যোগে পল্টনস্থ এবিসি মিলনায়তনে গত ২০ জানুয়ারি-২০১৮ শনিবার দিনব্যাপি ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে একাডেমিক গবেষণা’ শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনাব শহীদুল ইসলাম।
একাডেমিক গবেষণার পদ্ধতি ও প্রায়োগিক কৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়-এর প্রভাষক তারেক মুহাম্মদ জায়েদ এবং বাংলাদেশ ইসলামিক ল’ রিসার্চ এন্ড লিগ্যাল এইড সেন্টার-এর সহকারী পরিচালক ড. মুহাম্মদ রুহুল আমিন। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পিএইচডি/এমফিল গবেষক ও মাস্টার্স এর অর্ধশত শিক্ষার্থী উক্ত ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেন।
“ইসলামী গবেষণার রীতি ও কৌশল” শীর্ষক ওয়ার্কশপ
বাংলাদেশ ইসলামিক ল’ রিসার্চ এন্ড লিগ্যাল এইড সেন্টার-এর উদ্যোগে পল্টনস্থ এবিসি মিলনায়তনে ১৬ মার্চ-২০১৯ শনিবার দিনব্যাপি ‘ইসলামী গবেষণার রীতি ও কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনাব শহীদুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালা উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, সাবেক সচিব শাহ আবদুল হান্নান ।
একাডেমিক গবেষণার পদ্ধতি ও প্রায়োগিক কৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন, ইসলামী আইন ও বিচার জার্নাল-এর সহকারী সম্পাদক ড. মুহাম্মদ রুহুল আমিন এবং বাংলা বানান ও ব্যাকরণ-এর প্রায়োগিক কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করেন মুফতী মুহিউদ্দীন কাসেমী। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি/এমফিল গবেষক, মাস্টার্স-এর শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন কওমী মাদরাসায় ইফতা বিভাগে গবেষণারত আলেমগণ উক্ত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রফেসর ড. আবদুল মাবুদ এবং ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দীন আহমেদ।
কর্মশালা সম্পর্কে অভিব্যক্তি ব্যাক্তকরেন ঢাবি এর সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মিডিয়াব্যক্তিত্ব মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ, ঢাকা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. কামারুজ্জামান এবং সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা জাহিদুজ্জামান প্রমুখ।