গতকাল রবিবার ২৫ আগস্ট-২০১৯, পল্টনস্থ এবিসি মিলনায়তনে বিকেল ৫ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বাংলাদেশ ইসলামিক ল’ রিসার্চ এন্ড লিগ্যাল এইড সেন্টার-এর উদ্যোগে শিক্ষাবিদ, ব্যাংকার, গবেষক ও উলামাদের উপস্থিতিতে “আধুনিক সমস্যা সমাধানে মাকাসিদুশ শারইয়্যাহর প্রয়োগ: ড. ইউসুফ আল-কারজাভীর নির্দেশনা” শীর্ষক স্টাডি সেশন এবং “বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকিং এ প্রোডাক্ট উন্নয়ন ও উদ্ভাবন” সম্পর্কিত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামিক ল’ রিসার্চ সেন্টারের-এর নির্বাহী পরিচালক শহীদুল ইসলাম-এর পরিচালনায় উভয় সেশনে সূচনা বক্তব্য রাখেন সুলতান যাইনুল আবেদিন বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া-এর সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান ও ইসরা মালয়েশিয়ার সিনিয়র গবেষক জনাব মেসবাহ উদ্দীন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে মতামত ব্যক্ত করেন, আইবিসিএফ-এর জেনারেল সেক্রেটারি বিশিষ্ট ব্যাংকার জনাব মাহফুজুর রহমান, সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংক্স অব বাংলাদেশ-এর জেনারেল সেক্রেটারি জনাব আব্দুল্লাহ শরীফ ও সৈয়দ সাখায়াত হোসাইন, ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট-এর গবেষণা পরিচালক ড. মীজানুর রহমান, জনাব রহমতুল্লাহ খন্দকার, ইসললামী ব্যাংক-এর শেয়ার ডিভিশনের প্রধান ড. নুরুল ইসলাম, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক-এর শরীয়াহ সেক্রেটারি জনাব ফরীদ উদ্দীন আহমেদ, ঢাকা ব্যাংক-এর শরীআহ সেক্রেটারি কামরুজ্জামান, ব্যাংক এশিয়ার ইসলামী ব্যাংকিং প্রধান একেএম মীজানুর রহমান, মুনীরুল হক, ইসললামী ব্যাংক-এর এসভিপি জনাব জিল্লুর রহমান পাটওয়ারী, পূবালী ব্যাংকের শরীয়াহ সেক্রেটারি একেএম নুরুন্নবী, মালিবাগ মাদরাসার মুফতী আব্দুল্লাহ মাসুম, মারকাজুল ফালাহ-এর প্রিন্সিপাল মুফতী নাজমুল হুদা নোমানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এহসান যুবায়ের, সহকারী অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল, সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ, সহকারি অধ্যাপক ড. রেজাউল হোসাইন, সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা জনাব জাহিদুজ্জামান, বিশিষ্ট সমাজ গবেষক এহসানুল কবীর মোভ ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম এসোসিয়েট মনযুরুল হক প্রমুখ।
এ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়ান ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন ব্যাংকের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ এবং গবেষক আলেম উপস্থিত ছিলেন।
বক্তাগণ বলেন, মাকাসিদ যে কোন বিষয়ের গুরুত্ব ও প্রায়োগিক পদ্ধতি নির্ধারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক যে কোন সমস্যা থেকে উত্তরণ ও সমাধান উদ্ভাবনে মাকাসিদ অনুসরণের কল্যাণ পরীক্ষিত। শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবিদেরকে এ বিষটির প্রতি গুরুত্বারোপ করার জন্য তারা আহবান জানান।
ইসলামী ব্যাংকিং-এর বিদ্যমান প্রোডাক্ট ও নতুন প্রোডাক্ট উদ্ভাবন সম্পর্কে ড. হাবীবুর রহমান বলেন, মালয়েশিয়ার মুসলমানদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংকিং কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। সেখানে ইসলামী ব্যাংকিং-এর অসংখ্য প্রোডাক্ট রয়েছে, জনগণকে ইসলামী ব্যাংকিং-এ আকৃষ্ট করতে তাদের চাহিদা পূরণে সক্ষম এ ধরণের প্রোডাক্ট বাড়াতে হবে। ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা, একথা ইসলামী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের সেবা সকলের জন্য উপযোগী করে প্রমাণ করতে হবে, তাহলে ইসলামী ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সকল মানুষের কাছে প্রিয় ও দ্রুত সম্প্রসারিত হবে।
জনাব মেসবাহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ইসলামী ব্যাংকিং এ মালিক পক্ষের প্রত্যাশা রক্ষা করেও তৃণমূল পর্যায়ে ইসলামী ব্যাংকিং প্রোডাক্ট সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। এজন্য প্রতিটি ব্যাংকের উচিত সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র শক্তিশালী গবেষণা সেল তৈরি করে মেধাবী জনবল নিয়োগ করা। এক্ষেত্রে সরকারের ব্যাংকিং বিভাগ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বিআইবিএম, আইবিটিআরএ, সেন্ট্রাল শরীআহ, আইবিসিএফ এবং বাংলাদেশ ইসলামিক ল’ রিসার্চ এন্ড লিগ্যাল এইড সেন্টার-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং-এর ভিত আরো মজবুত ও টেকসই হবে। বক্তাগণ বলেন, ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে সুসংহত করতে হলে মালিক পক্ষ, টপ ম্যানেজমেন্ট, শিক্ষাবিদ ও উলামাদের মতবিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে।
http://www.dailynayadiganta.com/city/435396/
http://www.alokitobangladesh.com/online/details/74067