ইসলামী আইন ও বিচার, বর্ষ : ১২ সংখ্যা : ৪৫
জানুয়ারি : মার্চ ২০১৬
ইসলামী ব্যাংকব্যবস্থায় ইছতিসনা বিনিয়োগ: মূলনীতি ও প্রায়োগিক বিশ্লেষণ
মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান
সারসংক্ষেপ
সমসাময়িক ইসলামী ব্যাংকব্যবস্থায় বিনিয়োগ সেবা হিসেবে ‘ইছতিসনা বিনিয়োগ’ অতি পরিচিত একটি নাম। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে কোন কিছু নির্মাণকল্পে অনুরোধ কিংবা চুক্তি করার নাম হচ্ছে ইছতিসনা (عقد الاستصناع)। পরিকল্পনাধীন কিংবা নির্মাণাধীন কোন প্রকল্পে প্রয়োজনীয় তারল্য সরবরাহ করার জন্য ইছতিসনা চুক্তি একটি উপযুক্ত মাধ্যম। অনেক দেশেই বর্তমানে পাওয়ার প্লান্ট, বিমান বন্দর, সমুদ্র বন্দর ও মহাসড়কসহ বড় বড় প্রকল্পে ইছতিসনা চুক্তির মাধ্যমে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে ইছতিসনা চুক্তির পরিচয়, আইনী পর্যালোচনা, বাস্তবিক প্রয়োগ, ইসলামী ব্যাংকিং এ ইছতিসনার আলোকে বিনিয়োগের খাত ইত্যাদি বিষয় আলোচনা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বর্ণনা ও বিশ্লেষণমূলক পদ্ধতিতে রচিত এ প্রবন্ধ থেকে ইছতিসনার বিভিন্ন অনুষঙ্গ অবগত হওয়ার পাশাপাশি বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশেষত ইসলামী ব্যাংকিং ও অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানে এর বাস্তব প্রয়োগ পদ্ধতি এবং ইছতিসনা সুকূকের ইস্যু ও বিনিয়োগ প্রক্রিয়া জানা যাবে।
মূলশব্দ: ইছতিসনা; ইছতিসনা বিনিয়োগ; ইসলামী ব্যাংকিং; অবকাঠামোগত উন্নয়ন; ইছতিসনা সুকূক।
IstisnāÔ Investment in Islamic Banking: Analyses of Principles and Application
Abstract
In contemporary Islamic Banking Industry istisnāÔ as an investment product has gained familiarity. IstisnāÔ (عقد الاستصناع) can be defined as a contract to construct something within a stipulated timeframe and in a certain manner. IstisnāÔ contract is appropriate for provioing liquidity for construction projects which has been proposed or is in the process of being built. In many countries nowadays large construction projects including power plants, airports, seaports, highways etc. are financed using istisnāÔ contract. This paper aims to discuss and analyze the definition of istisnāÔ its legal analyses, application and investment sectors of istisnāÔ in Islamic Banking system. Employing descriptive and analytical methods, the paper facilitating the understanding of various key issues related to istisnāÔ and its practical application by Islamic banks and financial institutions as well as procedures of issuing and investing istisnāÔ sukūk.
Keywords: IstisnāÔ; istisnāÔ investment; Islamic banking; infrastructural development; istisnāÔ sukūk.
ইসলামী অর্থব্যবস্থার অগ্রগতি: বৈশ্বিক ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট
মো: তৌহিদুল ইসলাম
সারসংক্ষেপ
বৈশ্বিক অর্থব্যবস্থায় ইসলামী অর্থনীতির অংশ ২% এর কম হলেও সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির পাশাপাশি গড়ে ২০% করে প্রবৃদ্ধি নিয়ে ইসলামী অর্থায়ন বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিগত পাঁচ বছরে শরীআহ্ভিত্তিক সম্পত্তি দ্বিগুণ হবার সাথে সাথে বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭%। ২০১৪ সালের শেষে এই সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২.১ ট্রিলিয়ন ডলার যার মধ্যে ইসলামী ব্যাংকিং সম্পদ ৭৮%, সুকূক ১৭%, ইসলামী ফান্ড ৪% এবং তাকাফুল ১%। ২০১৪ সালের শেষে বৈশ্বিক ডিপোজিটের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮.৯%, এর বিপরীতে ইসলামী অর্থায়নের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১.৭%। বর্তমানে বাংলাদেশে ৮টি পরিপূর্ণ ইসলামী ব্যাংক, ৯টি প্রচলিত কনভেনশনাল ব্যাংকের ১৯টি ব্যাংকিং শাখা এবং ৭টি প্রচলিত বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২৫টি ব্যাংকিং উইন্ডো ইসলামী ব্যাংকিং করছে। ২০১৪ সালের শেষে বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং এর অংশ ছিল আমানত ১৮%, বিনিয়োগ ২১%, সম্পদ ১৭%, ইক্যুইটি ১৫%, রেমিটেন্স ২৮%, আমদানি ২১%, রপ্তানি ২১%। শ্রেণীকৃত বিনিয়োগ ছিল ইসলামী ব্যাংকিং এ ৪.২% যেখানে সকল ব্যাংক এর গড় ণ্রেণীকৃত বিনিয়োগ ছিল ৮.৯%। বর্ণনা ও বিশ্লেষণমূলক পদ্ধতিতে রচিত এ প্রবন্ধটি প্রণয়নে অর্থনীতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক রিপোর্ট, মানদণ্ড প্রণয়নকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন, বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক প্রতিবেদন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অন্যান্য গ্রহণযোগ্য উৎস থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। এই প্রবন্ধে বিশ্বে ও বাংলাদেশে ইসলামী অর্থব্যবস্থার অগ্রগতি ও বর্তমান অবস্থার চিত্রায়ন, মূল্যায়ন, বিশ্লেষণ ও গবেষণার নতুন দ্বার উন্মোচন, বৈশ্বিক ইসলামী অর্থায়নের চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আলোকপাত এবং সর্বশেষে বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং এর প্রসারে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে।
মূলশব্দ: ইসলামী ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্স; বাংলাদেশ; সুকূক; ইসলামী ফান্ড; তাকাফুল;
Advancement in Islamic Finance: Global and Bangladesh Perspectives
Abstract
Islamic Finance constitutes less than 2% of the entire global financial industry. Inspite of this fact, Islamic finance recently got tremendous popularity with 20% growth. In the last five years, annual average growth was 17% while SharīÔah based asset doubled. By the end of 2014, this asset accounted for 2.1 trillion dollar whereby asset of Islamic banking was 78%, sukūk was 17%, Islamic fund was 4%, and Takāful was 1%. At the end of 2014, global deposit rose to 18.9% while Islamic finance grew by 21.7%. At present in Bangladesh 8 full-fledged Islamic banks, 19 branches of 9 conventional banks, and 25 banking windows of 07 conventional commercial banks are operating Islamic banking. By the end of 2014 in Bangladesh Islamic Banking accounted for 18% of deposits, 21% of investments , 17% of assets, 15% of equity, 28% of remittance, 21% of imports and 21% of exports. Classified investments of Islamic banking sector was 4.2% while classified investments of conventional banks accounted for 8.9%. In this analytical and descriptive paper data and information were collected from international economic reports, international standardizing institutions’ report, various organizations’ annual reports, central bank and other reliable sources. This paper presents advancement, present conditions, evaluation, analysis, strength and challenges of Islamic finance in the world and Bangladesh. Finally this paper provides recommendations for the expansion of Islamic banking in Bangladesh.
Keywords: Islamic banking and finance; Bangladesh; sukūk; Islamic fund; Takāful.
বৈশ্বিক আর্থিক সঙ্কটের কারণ ও প্রতিকার: ইসলামী দৃষ্টিকোণ
মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ খন্দকার
সারসংক্ষেপ
প্রচলিত অর্থনীতিতে আর্থিক মন্দা একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বিগত প্রায় এক শতাব্দী কাল (১৯৩০-২০১৪)-এর মধ্যে সংঘটিত প্রায় ১৪টি বড় বড় অর্থনৈতিক মন্দা বিশ্ব অর্থনীতিকে চরম সঙ্কট ও অস্থিরতার মুখে ঠেলে দিয়েছে। এর কারণ হিসেবে বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতি বিশেষজ্ঞগণ প্রচলিত অর্থনীতির বিভিন্ন দুর্বলতার চুলচেরা বিশ্লেষণ করে তা থেকে বেরিয়ে আসার নানামাত্রিক উপায় তুলে ধরেছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত এমন কোনো টেকসই মডেলের সন্ধান তারা দিতে পারেননি, যা দিয়ে বিরাজমান সঙ্কটের চিরন্তন সমাধান পেশ করা যায়। অন্যদিকে ইসলামী অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার ও শরী‘আহ বিশেষজ্ঞগণ বাজার অর্থনীতিতে বিরাজিত বহুমুখী সঙ্কটের মৌলিক কারণগুলো চিহ্নিত করে তা থেকে উত্তরণে ইসলামের সম্পদ ও ঝুঁকিবণ্টনভিত্তিক অর্থায়ন পদ্ধতিকেই একমাত্র বিকল্প কৌশল হিসেবে দেখছেন। এ প্রবন্ধে বৈশ্বিক আর্থিক সঙ্কটের মূল কারণ এবং তার প্রতিকারে ইসলামী অর্থনীতি ও অর্থায়ন পদ্ধতির অন্তর্নিহিত উপাদানগুলো কিভাবে সহায়ক হাতিয়ারে পরিণত হতে পারে সে সম্পর্কে একটা বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। প্রবন্ধটি প্রণয়নের ক্ষেত্রে বর্ণনামূলক ও বিশ্লেষণধর্মী পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। প্রবন্ধটি বৈশ্বিক আর্থিক সঙ্কটের কারণ ও তার পুনরাবৃত্তি রোধ করে স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনীতি বিনির্মাণে প্রচলিত ও ইসলামের অর্থনৈতিক দর্শন সম্পর্কে তুলনামূলক ধারণা প্রদানে সক্ষম হবে।
মূলশব্দ: অর্থনৈতিক সষ্কট; সুদভিত্তিক অর্থনীতি; ইসলামী অর্থনীতি; ইসলামী ব্যাংকিং; মন্দা প্রতিরোধ;
Causes and Remedy of Global Economic Crisis: Islamic Perspectives
Abstract
In conventional economics, economic crisis has become a common phenomenon. In the past century (1930-2014) the global economy experienced 14 huge economic crises leading to economic unrest and recession. World renowned economists have illustrated the causes and weakness of those recessions and recommended measures of how to overcome the crisis. Unfortunately they could not propose a sustainable model which would give a permanent solution. On the other hand, Islamic economists, bankers, and SharīÔah experts identified the fundamental causes of the economic problems. According to them, Islamic finance which is based on profit and loss sharing method is the ultimate strategy to prevent economic crisis. In this context, this paper shows main causes of global economic crisis. The paper discusses and demonstrates how the Islamic econmic and financial system may serve as a remedy to the current system and prevent future economic recession. In writing this paper, descriptive analytical method was employed. Readers will know about the comparative idea and philosophy of Islamic and conventional economics and their role in establishing a sustainable and balanced economic system in the world.
Keywords: Economic crisis; interest based economy; Islamic economics; Islamic banking; recession of financial crisis.
হাদীসের আলোকে শর‘ঈ বিধি-বিধান নিরূপণে
শায়খ নাসিরুদ্দীন আল-আলবানী রহ.-এর অবদান: মূল্যায়ন
ড. মো. মিজানুর রহমান
সারসংক্ষেপ
সুন্নাহ বা হাদীস শরঈ’ বিধি-বিধানের দ্বিতীয় উৎস। ফকীহগণ শর‘ঈ বিধান উদ্ভাবনে এ উৎসকে প্রয়োগ করেছেন। ফকীহগণের পাশাপাশি যুগে যুগে অনেক মুহাদ্দিসও শর‘ঈ বিধান বর্ণনা ও নিরূপণের প্রয়াস নিয়েছেন, যদিও মুহাদ্দিসগণ মূলত হাদীস নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁরা হাদীস সংগ্রহ, সংকলন, হাদীসের সনদ-মতন যাচাই-বাছাই-এর নীতিমালা নির্ধারণ, হাদীসের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। যেসব মুহাদ্দিস তাঁদের মূল কর্তব্যের পাশাপাশি হাদীসের আলোকে শরীয়তের বিধি-বিধান নির্ণয়ে সচেষ্ট হয়েছেন তাঁদের অন্যতম শায়খ নাসিরুদ্দীন আল-আলবানী (১৯১৪-১৯৯ খ্রি.)। হাদীসের সংকলন, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ সনদ-মতন যাচাই-বাছাই এর মূলনীতি নির্ধারণের পাশাপাশি তাঁর রচিত মৌলিক গ্রন্থসমূহে তিনি হাদীসের আলোকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শর‘ঈ বিধি-বিধান নির্ণয়ে সবিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ইলম হাদীসে অনবদ্য অবদানের পাশাপাশি এ মহান মনীষী হাদীসের আলোকে শর‘ঈ বিধি-বিধান নির্ণয়ে যে অসামান্য অবদান রেখেছেন বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে সে সম্পর্কে সবিস্তর আলোচনা করা হয়েছে। প্রবন্ধটি রচনার ক্ষেত্রে পর্যালোচনা ও বর্ণনামূলক পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। কুরআন, হাদীস এবং বিষয় সংশ্লিষ্ট মৌলিক গ্রন্থাবলি তথ্যসূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। শায়খ নাসিরুদ্দীন আল-আলবানী রহ. কেবল ইলম হাদীসের উপর গবেষণা করেননি; বরং তিনি শর‘ঈ বিধি-বিধান নির্ণয়েও যে বিশাল অবদান রেখেছেন, এ প্রবন্ধ তার-ই স্বাক্ষর বহন করবে।
মূলশব্দ: শায়খ আলবানী; শরঈ বিধান নিরূপণ; হাদীস; মুহাদ্দিস; ফকীহ
Contribution of Sheikh Nasiruddin Al-Albani in Deriving SharīÔah Ruling based on Hadith: An Evaluation
Abstract
Sunnah or Hadith is the second source of the sharīÔah. Islamic jurists analyzed this source in extracting and introducing legal decisions. Alongside the Fuqahā’ (Jurists) the Muhaddis (experts of Hadith) also exerted tremendous efforts in finding and extracting legal decisions, although the Muhaddis study within the scope of Hadith, collecting Hadith, managing compilation, scrutinizing the chain of narration and accuracy of the text. Sheikh Nasiruddin al-Albani (1914-1999 AD) was one of those who studied vigorously the application of Hadith in deriving sharīÔah ruling. Along with compilation of Hadith, illustration, scrutinizing text and chain of narration, he also played a vital role in deriving sharīÔah ruling in the light of Hadith. He authored many worthy books in this field too on top of that he was also a great scholar of Hadith. This paper presents his invaluable contribution in deriving sharīÔah ruling. Narrative method was applied in writing this paper. Many documents including the Quranic text and Hadith and major books in this field were also referred. The current paper ultimately evaluates the huge contribution of Sheikh Nasiruddin al-Albani in the field of sharīÔah ruling.
Keywords: Sheikh al-Albani; deriving sharīÔah ruling; Hadith; Muhaddis, Fuqaha.
কুরআন ও হাদীসের আলোকে ইনফাক
আবদুছ ছবুর মাতুব্বর
সারসংক্ষেপ
মুসলিম জীবনে আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত পালনের যতগুলো মাধ্যম আছে তন্মধ্যে ইনফাক বা সম্পদ ব্যয় অন্যতম। ইসলামে ইনফাকের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। একে ইবাদতে মালী বা আর্থিক ইবাদতও বলা হয়। মানুষ মাত্রই সম্পদ ব্যয় করে থাকে। ধনী, গরীব, মুসলিম, অমুসলিম, ন্যায় পথে উপার্জনকারী, অন্যায় পথে উপার্জনকারী সবাই ব্যয় করে। ইনফাক দ্বারা মুসলিমদের বৈধ আয় থেকে বৈধ (ইসলামের বিধান অনুযায়ী) পথে ব্যয়কেই বুঝানো হয়েছে। সম্পদ ব্যয় ইসলামের নির্দেশ। ক্ষেত্রভেদে সম্পদ ব্যয় করা ফরয, ওয়াজিব, মুস্তাহাব, নফল এবং হারাম। সম্পদ ব্যয়ের খাত কী কী, ব্যয়ের পরিমাণ কতটুকু এবং ব্যয়ের পদ্ধতি কী হবে? ইসলাম এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রদান করেছে। একজন মানুষের সামনে সম্পদ আয়ের ক্ষেত্রে বৈধ-অবৈধ হাজারো পথ রয়েছে; কিন্তু ইসলামের নির্দেশ হচ্ছে অবৈধ পথে সম্পদ আয় করা যাবে না। বৈধ পথে অর্জিত সম্পদ ব্যয় করার পদ্ধতিও নির্ধারিত। পরকালের সফলতা অর্জনে ইসলাম মানুষকে স্বেচ্ছায় ব্যয় করতে উৎসাহ দিয়েছে এবং ব্যয় না করলে তাকে কৃপণ বলে আখ্যায়িত করেছে। অপচয়-অপব্যয় করতে নিষেধ করেছে। সাথে সাথে বৈধ পথে ব্যয় করলে সম্পদ বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়েছে। বর্ণনামূলক পদ্ধতি অবলম্বনে রচিত অত্র প্রবন্ধে ইনফাকের পরিচিতি এবং কুরআন-সুন্নাহের আলোকে ইনফাকের সামগ্রিক নীতিমালা তুলে ধরার প্রায়াস নেয়া হয়েছে।
মূলশব্দ: ইনফাক, ব্যয়ের খাত, মালী ইবাদাত, ব্যয়ের নীতিমালা
Infāq in the Light of the Quran and Hadith
Abstract
Among all the ways and means of worship, Infāq or spending wealth for the sake of Allah is considered to be one the significant ways of worship. The concept of Infāq has importance and significance in Islam. It is also called monetary worship. Generally people irrespective of being rich, poor, Muslims, Non-Muslims, legal money earners or illegal money earners all spend wealth. In this paper, the term Infaq refers to spending legal earned wealth by Muslims for a legal cause (i.e. the cause approved by sharīÔah). Spending wealth must be done according to the commandment of Allah, which means it is sometimes obligatory (fard), compulsory (wājib), preferred (mustahab), supererogatory (nafal), and prohibited (harām). Islam clearly states the principles of how wealth should be earned and spent including the purpose, amount, and method of spending wealth. Man has numerous ways and means of earning wealth, which may be legal or illegal, but the commandment of Islam is not to earn wealth through illegal means. In addition, permissible ways of earning wealth are also well defined. In order to achieve success in the hereafter, Islam encourages humankind to spend voluntarily. Islam refers to one as stingy who does not spend; again it does not allow extravagance and unnecessary expenditure; it also postulates that spending wealth for a good cause guarantees increase of wealth. This paper prepared by applying analytical method and described various aspects of infāq including definition and rules in the light of Quran and Sunnah.
Keywords: Infāq; fields of expenditure; monetary worship; principles of expenditure.
ইসলামী আইন ও বিচার জার্নাল অনলাইন ভার্সন পেতে ভিজিট করুন - www.islamiainobichar.com
তথ্য সংগ্রহে : আলমগীর হোসাইন
ল’ রিসার্চ সেন্টার