بسم الله الرحمن الرحيم
প্রকাশকের কথা
ইসলামের অপার সৌন্দর্য হলো, এর প্রতিটি বিধান দলীল-প্রমাণ ভিত্তিক। ইসলামের মূলনীতি নির্ধারিত হয়েছে ওহীর মাধ্যমে। মহান আল্লাহ রাসূলুল্লাহ স.-এর জীবদ্দশাতেই ইসলামের পূর্ণতা ঘোষণা করেছেন। ফলে কিয়ামত পর্যন্ত ইসলামের আকীদা-বিশ্বাস, ইবাদাত ও মৌলিক বিষয়সমূহে কোন পরিবর্তন-পরিবর্ধন বা নতুন কিছু সংযোজনের প্রয়োজন পড়বে না। আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ স.-এর পূর্ণতার বাইরেও যদি কেউ দীনের মৌল বিষয়গুলোতে নতুন কিছু যুক্ত করে তা বিদ‘আত হিসেবে গণ্য হবে।
বিশ্বাস ও আমল তথা প্রায়োগিক ক্ষেত্রে দীন ইসলামের বিকৃতির বিষয়টিকেই আল্লাহর রাসূল # বিদ‘আত নামে অভিহিত করেছেন। সেই সাথে রাসূলুল্লাহ স. বিদ‘আতের ব্যাপারে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। কেননা দীনের মধ্যে বিদ‘আতের অনুপ্রবেশ এর মৌলিকত্ব বিনষ্ট করে।
বিদ‘আত এমন এক ব্যাধি যা মুসলিম উম্মাহকে দীনের মূল চেতনা থেকে ধীরে ধীরে সরিয়ে দেয়। পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহে পরিবর্তন-পরিবর্ধনের কারণে ইহুদী ও খ্রিস্টধর্ম বিকৃতির শিকার হয়েছে। মহাগ্রন্থ আল-কুরআন বিকৃতির ঊর্ধ্বে; আল্লাহ তাআলা নিজেই এর হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন। ফলে কুরআনুল কারীমে বিকৃতি সাধনের অবকাশ নেই। কিন্তু আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুসরণ এবং ইসলামের বিধানগুলো প্রয়োগ ও প্রতিপালনের ক্ষেত্রে বিকৃতির শিকার হচ্ছে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন পথ ও মাধ্যমে ইসলাম সম্প্রসারিত হওয়ায় এবং ইসলামী জ্ঞানের স্বল্পতা হেতু এ অঞ্চলের মুসলিমদের মধ্যে জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন বিদ‘আত অনুপ্রবেশ করেছে এবং দিন দিন এর ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ধারা চলতে থাকলে দীন ও শরীয়ত এক সময় বিদ‘আতের বেড়াজালে এমনভাবে আবদ্ধ হয়ে পড়বে যে, বিদ‘আতের আগাছা থেকে দীন ও শরীয়তের মূল রূপ উন্মোচন করা কষ্টকর হয়ে পড়বে এবং ধীরে ধীরে ইসলাম মৌলিকত্ব হারিয়ে একটি কুসংস্কারাচ্ছন্ন লোকাচারে পর্যবসিত হবে। ইসলামী জীবনাদর্শ যাতে বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা পেয়ে তার মূল সৌন্দর্য নিয়ে স্বরূপে দীপ্তিমান থাকে সে জন্য প্রয়োজন প্রচলিত বিদ‘আতসমূহ চিহ্নিত করা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্বনামধন্য অধ্যাপক ড. আহমদ আলী এ প্রয়োজনীয়তা পূরণে অগ্রসর হয়েছেন। তিনি প্রচলিত বিভিন্ন বিদ‘আত নিয়ে রচনা করেছেন ‘বিদ‘আত’ সিরিজ। আট খণ্ডে সমাপ্য এ সিরিজে তিনি বিদ‘আতের পরিচয়, মৌলিক নীতিমালা, শ্রেণি বিভাজন, পরিণাম আলোচনাসহ আকীদা, ইবাদাত, জানাযা, কবর, কবর যিয়ারাত, ঈছালে সওয়াব, ধর্মীয় দিবস, তাসাউফ, আধুনিক বিভিন্ন মতবাদসংশ্লিষ্ট বিদআতগুলো তুলে ধরেছেন।
বাংলাদেশ ইসলামিক ল’ রিসার্চ এন্ড লিগ্যাল এইড সেন্টার নতুনভাবে বিন্যস্ত এ সিরিজ প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম খণ্ড প্রকাশিত হয়েছে এবং পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে আদৃত হয়েছে। এটি এই সিরিজের ষষ্ঠ খণ্ড; এতে তাসাউফের উৎপত্তি, তা যুগে যুগে কীভাবে বিকাশ লাভ করেছে এবং কোথায় কোথায় তাতে বিচ্যুতি ও বিকৃতি ঘটেছে তা সবিস্তারে তোলে ধরা হয়েছে। যাতে আমাদের সমাজে যুগ যুগ ধরে আচরিত এতদসংশ্লিষ্ট বিদ‘আত ও বিকৃতিগুলো চিহ্নিত হয় এবং ধর্মপ্রাণ মানুষ তা থেকে বেঁচে থেকে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ অর্জন করতে পারবেন।
মহান আল্লাহ সবাইকে তাঁর বিধান অনুধাবন ও পালনের তৌফিক দান করুন। আমীন।
বিনীত
শহীদুল ইসলাম
নির্বাহী পরিচালক
বাংলাদেশ ইসলামিক ল’ রিসার্চ এন্ড লিগ্যাল এইড সেন্টার
সূচিপত্র
ভূমিকা.........................................................................................১৭
প্রথম অধ্যায়
তাসাউফের উৎপত্তি ও বিকাশ: একটি বস্তুনিষ্ঠ পর্যালোচনা # ৩৩-১৩০
ইবাদতে বাড়াবাড়ির মনোবৃত্তি................................................... ৩৪
ইবাদতের জন্য নির্জনে গমনের প্রবণতা বৃদ্ধি..................................৪০
সংসার ত্যাগ ও বৈরাগ্য সাধনা.................................................. ৪৩
তাসাউফ ও সূফী শব্দের প্রথম ব্যবহার......................................... ৪৮
তাসাউফ শব্দের উৎপত্তি ও নামকরণ...........................................৫২
সূফীদের বিভিন্ন উপাধি........................................................... ৫৭
তাসাউফের পারিভাষিক অর্থ..................................................... ৫৮
তাসাউফের মূল বিষয়বস্তু........................................................ ৬৪
তাসাউফের বিভিন্ন ধারা.......................................................... ৬৫
প্রথম ধারা: ইবাদতের জন্য অতিরিক্ত কষ্ট স্বীকার.................................... ৬৫
এ ধারার সূফীগণের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ॥
ক. স্বতন্ত্র জীবনাচার ও পদ্ধতি....................................................... ৬৬
খ. কিচ্ছা-কাহিনী বর্ণনার প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ................................ ৬৬
গ. ইবাদতের জন্য মসজিদ ছাড়া পৃথক ঘর তৈরি................................. ৬৭
এ ধারার কয়েকটি গ্রন্থ................................................................ ৬৭
দ্বিতীয় ধারা: বাতিনী ধ্যান-ধারণার প্রসার............................................. ৭০
এ ধারার প্রসিদ্ধ সূফীগণ ॥
১. যুননূন আল-মিসরী............................................................. ৭১
২. আবূ ইয়াযীদ আল-বিস্তামী.................................................... ৭৩
৩. আল-হাকীম আত-তিরমিযী................................................... ৭৫
তৃতীয় ধারা: বিভিন্ন ধর্ম দর্শনের প্রভাব................................................ ৭৬
এ ধারার প্রসিদ্ধ সূফীগণ ॥
১. ইবনু মানছূর আল-হাল্লাজ..................................................... ৭৬
হিজরী ৫ম শতাব্দীতে তাসাউফের প্রসার........................................... ৭৯
তরীকার উদ্ভব..................................................................... ৮০
হিজরী ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে তাসাউফের বিস্তার...................................... ৮২
হিজরী ৭ম শতাব্দীতে তাসাউফের বিস্তার...................................... ৮৬
১. মুহীউদ্দীন ইবনু আরবী........................................................ ৮৬
২. আবুল হাসান আশ-শাযিলী................................................... ৯০
৩. ইবনুল ফারিদ................................................................... ৯১
৪. ইবনু সাব‘ঈন................................................................... ৯১
৫. মাওলানা জালালুদ্দীন আর-রূমী.............................................. ৯২
হজরী ৮ম ও ৯ম শতাব্দীতে তাসাউফের প্রসার........................................... ৯২
পরবর্তী সময়ে তাসাউফের বিস্তার............................................... ৯৩
১. আবদুল গনী আন-নাবলূসী.................................................... ৯৪
২. শাইখ আহমদ আত-তীজানী.................................................. ৯৪
৩. শাইখ মুহাম্মদ উছমান আল-মীরগীনী....................................... ৯৫
৪. শাইখ মুহাম্মদ ইবনু আবদিল কবীর আল-কাত্তানী......................... ৯৬
৫. মুহাম্মদ ইবনু হাসান আছ-ছাইয়াদী আর-রিফা‘ঈ.......................... ৯৬
৬. শাহ আহমদ উল্লাহ মাইজভা-ারী............................................ ৯৭
সূফী চিন্তানৈতিক সম্প্রদায়সমূহ (ঝপযড়ড়ষ ড়ভ ঝঁভরবং) ....................... ৯৭
ক. সংসারের প্রতি বীতস্পৃহ যাহিদ................................................. ৯৭
খ. কাশ্ফ ও মা‘রিফতের প্রবক্তা.................................................... ৯৭
গ. ওয়াহ্দাতুল ওয়াজূদ মতাবলম্বী.................................................. ৯৭
ঘ. হুলূল মতাবলম্বী................................................................... ৯৮
কতিপয় চরম ভ্রান্ত মতবাদ........................................................... ৯৮
সূফী দলসমূহ......................................................................... ১০০
সূফী তরীকাসমূহ..................................................................... ১০১
ক. কাদিরিয়্যাহ বা জীলানিয়্যাহ.................................................... ১০২
খ. রিফা‘ঈয়্যাহ...................................................................... ১০৪
গ. আহমদিয়্যাহ বা বাদাভিয়্যাহ................................................... ১০৫
ঘ. দাসূকিয়্যাহ....................................................................... ১০৫
ঙ. আকবারিয়্যাহ....................................................................... ১০৬
চ. শাযিলিয়্যাহ......................................................................... ১০৬
ছ. বাকদাশিয়্যাহ....................................................................... ১০৬
জ. মাওলাভিয়্যাহ....................................................................... ১০৬
ঝ. নক্শেবন্দিয়্যাহ ও মুজাদ্দিদিয়্যাহ............................................... ১০৬
ঞ. চিশতিয়্যাহ.......................................................................... ১০৯
ট. মালামাতিয়্যাহ....................................................................... ১১১
ঠ. কুবাইসিয়্যাহ......................................................................... ১১২
ড. কলন্দরিয়্যাহ......................................................................... ১১২
বাংলাদেশে প্রচলিত কয়েকটি তরীকা................................................. ১১৪
ক. মাইজভা-ারী তরীকা.............................................................. ১১৪
খ. দেওয়ানবাগী তরীকা................................................................ ১১৫
তাসাউফের উৎস: বিভিন্ন দর্শন ও চিন্তার প্রভাব.................................. ১১৯
দ্বিতীয় অধ্যায়
তরীকতের সাথে সংশ্লিষ্ট আকীদাগত বিদ‘আত # ১৩১-২৩৬
১. শরী‘আত, তরীকত ও হাকীকতের মধ্যে পার্থক্য করা...................... ১৩১
২. ওয়াহ্দাতুল ওয়াজূদ, ইত্তিহাদ................................................. ১৪৩
৩. ওয়াহ্দাতুশ শুহুদ................................................................ ১৪৫
৪. ফানা (আল্লাহর সত্তার মধ্যে লীন হওয়া) .................................... ১৪৬
৫. বাকা.............................................................................. ১৪৬
৬. লগস তত্ত্ব বা নূরে মুহাম্মাদী তত্ত্ব ............................................. ১৪৬
৭. নবী-রাসূল ও ওলী-আল্লাহগণের আকৃতিতে আল্লাহর প্রকাশ............... ১৫৬
৮. হুলূল.............................................................................. ১৫৬
৯. মুমিনের অন্তরে আল্লাহর অবস্থান প্রসঙ্গ...................................... ১৫৮
১০. ওয়াহ্দাতুল আদ্ইয়ান.......................................................... ১৬৩
১১. তাওয়াজ্জুহ (দিব্যদর্শন) প্রসঙ্গ.................................................. ১৬৪
১২. তাসাওউরে শাইখ প্রসঙ্গ........................................................ ১৭০
১৩. মুরীদদেরকে ফয়েয দেওয়া..................................................... ১৭৩
১৪. যাওক প্রসঙ্গ...................................................................... ১৭৬
১৫. ওয়াজ্দ প্রসঙ্গ.................................................................. ১৭৭
১৬. যুহদের ভুল ব্যাখ্য্যা............................................................ ১৮০
১৭. তাসাউফ ও যুহদের মধ্যে পার্থক্য............................................ ১৮৪
১৮. আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা প্রসঙ্গ.............................................. ১৮৬
১৯. তাওয়াক্কুলের ভুল ব্যাখ্যা...................................................... ১৯০
২০. সীনা-ব-সীন্যা.................................................................. ১৯৪
২১. নব্বই হাজার কালাম........................................................... ১৯৬
২২. পীর ধরাকে বাধ্যতামূলক ও নাজাতের জন্য যথেষ্ট মনে করা............. ২০১
২৩. তাওহীদুল মাত্লব প্রসঙ্গ...................................................... ২০৪
২৪. খিলাফত লাভ করাকে কামালিয়্যাত মনে করা.............................. ২০৬
২৫. স্বপ্নকে শরী‘আতের দলীল মনে করা....................................... ২০৮
২৬. রাসূলুল্লাহ স. কে স্বপ্নে দেখা প্রসঙ্গ....................................... ২১২
২৭. কাশ্ফ ও ইলহামকে শরী‘আতের দলীল মনে করা........................ ২১৪
২৮. কাশ্ফ ও অলৌকিক কর্মকা-কে বুযুর্গীর আলামত মনে করা.............. ২১৬
২৯. বিনয় প্রকাশার্থে নিজেকে সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট মনে করা......... ২২১
৩০. বিলায়াতের জন্য দুনিয়া ও আখিরাত ত্যাগ করাকে আবশ্যক মনে করা....... ২২৩
৩১. সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ প্রসঙ্গ......................................................... ২২৬
৩২. আখিরাতে মুক্তির উদ্দেশ্যে ইবাদত করাকে খারাপ জানা................. ২৩৩
তৃতীয় অধ্যায়
ওলীর পরিচয় ও আউলিয়া কিরাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা # ২৩৭-৩৭৬
বিলায়াত ও ওলীর পরিচয়..................................................... ২৩৭
ওলী-আল্লাহগণের মর্যাদাগত তারতম্য....................................... ২৪২
ব্যক্তিবিশেষকে ওলী বলে সাক্ষ্য দেওয়া...................................... ২৪৬
ওলী কি নিজের বিলায়াত জানতে পারেন? ................................. ২৪৯
বিলায়াতের কতিপয় প্রয়োজনীয় শর্ত......................................... ২৫১
ক. সত্যিকার ঈমান.............................................................. ২৫১
খ. সুন্নাতের অনুসরণ........................................................... ২৫২
গ. শরী‘আতের নির্দেশাবলি পালন........................................... ২৫৬
বিলায়াতের জন্য কারামত প্রকাশ শর্ত নয়................................... ২৫৭
বিলায়াতের জন্য ইসমত শর্ত নয়............................................. ২৫৮
ওলী চেনার উপায়.............................................................. ২৫৯
ক. ইস্তিকামাত................................................................... ২৫৯
খ. সুন্দর চরিত্র ও আচরণ...................................................... ২৬৪
গ. সাদাসিধে ও অনাড়ম্বর জীবনযাপন (যুহ্দ).............................. ২৬৬
আউলিয়া কিরাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা..................................................... ২৭০
১. ওলীআল্লাহদেরকে আল্লাহ বা আল্লাহর অবতার মনে করা........................ ২৭০
২. ওলীদেরকে ঐশ্বরিক ক্ষমতা ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী মনে করা........................... ২৭২
ওলীআল্লাহগণের জন্য ‘শাহ’ শব্দের ব্যবহার প্রসঙ্গ................. ২৭৭
৩. আউলিয়া কিরামকে নবী-রাসূলগণের চাইতে শ্রেষ্ঠ মর্যাদাসম্পন্ন মনে করা..... ২৭৭
৪. আউলিয়া কিরামকে অলৌকিক কল্যাণ ও অকল্যাণকারী মনে করা...... ২৮৪
৫. সূফী শাইখদের ইলমে গায়ব আছে বলে বিশ্বাস করা...................... ২৮৮
৬. ওলী-আল্লাহগণের বিভিন্ন পদমর্যাদা ও তাঁদের ক্ষমতায় বিশ্বাস করা.... ২৯০
৭. খাতামুল আউলিয়া সংক্রান্ত ধারণা............................................ ২৯৮
৮. সাইয়িদুনা আলী রা.কে বিলায়তের উৎস এবং রাসূলুল্লাহ স.-এর বাতিনী খলীফা মনে করা...................................................... ৩০১
৯. খিযির (আ.) সংক্রান্ত বিভিন্ন ধারণা.......................................... ৩১১
খিযির নাম, না উপাধি? ................................................ ৩১৪
খিযির (আ.) ওলী, না নবী বা রাসূল? ................................ ৩১৫
খিযির (আ.) কি জীবিত, না মৃত? .................................... ৩১৮
খিযির (আ.) হানাফী, না শাফি‘য়ী? .................................. ৩২৫
খিযির (আ.) কি সূফীগণকে যিকর ও দু‘আ শিক্ষা দেন?........... ৩২৮
১০. সূফীদের সাথে সরাসরি আল্ল¬াহর যোগাযোগ রয়েছে বলে বিশ্বাস করা.... ৩৩১
১১. ওলী-আল্লাহগণের মি‘রাজ প্রসঙ্গ............................................. ৩৩৪
১২. পীরকে হিদায়তের মালিক মনে করা......................................... ৩৩৬
১৩. পীরকে জান্নাত ও জাহান্নামের মালিক মনে করা........................... ৩৩৭
১৪. মৃত্যুর পরেও ওলীদের জীবিত লোকদের আহ্বান শোনা প্রসঙ্গ............ ৩৩৮
১৫. কবর থেকে ফয়েয গ্রহণ....................................................... ৩৪৯
১৬. ওলী-বুযুর্গকে শরী‘আতের নির্দেশের উর্ধ্বে মনে করা...................... ৩৫০
১৭. ওলী-অ¬¬াল্লাহদেরকে মা‘সূম মনে করা....................................... ৩৫৬
১৮. ওলী-বুযুর্গদের কথা ও কাজকে দীনের স্বতন্ত্র দলীল মনে করা........... ৩৬০
১৯. ওলী আল্লাহগণক কবরে জীবিতাবস্থায় শায়িত আছেন মনে করা........ ৩৬২
২০. রূহ উপস্থিত হবার ধারণা..................................................... ৩৬৫
২১. মৃত ওলী-বুযুর্গদের সাথে সাক্ষাতের দাবি করা............................. ৩৬৮
২২. প্রতি রাতে হিরা গুহায় ওলীগণের সমাবেশ সংক্রান্ত ধারণা............... ৩৭১
২৩. তরীকতের লোকদের কবরের আযাব থেকে মুক্তি লাভ প্রসঙ্গ............ ৩৭৩
২৪. মাজযূব সম্পর্কে ভ্রাঅযাচিত ধারণা.......................................... ৩৭৪
২৫. পীর শব্দের ব্যবহার প্রসঙ্গ.................................................... ৩৭৬
চতুর্থ অধ্যায়
তরীকতের সাথে সংশ্লিষ্ট আমলী বিদ‘আত # ৩৭৭-৫১০
১. ‘তাসাউফ’ প্রচলিত অর্থে ইসলামে একটি নতুন উদ্ভাবিত পরিভাষা.... ৩৭৭
২. তাসাউফের বিভিন্ন তরীকা................................................... ৩৭৮
৩. বংশানুক্রমিক খিলাফত....................................................... ৩৮১
৪. সূফীদের খিরকা ও সিলসিলা প্রসঙ্গ......................................... ৩৮৫
৫. বিলায়তের দাবি.............................................................. ৩৯২
৬. আহলে বায়তের সাথে বংশীয় সম্বন্ধ যুক্ত করার প্রবণতা................ ৩৯৬
৭. নিভৃতে সাধনার জন্য পৃথক খানকা (আশ্রম) তৈরি করা................ ৩৯৮
৮. পীরের হাতে বাই‘আত গ্রহণ প্রসঙ্গ........................................ ৪০২
৯. পীরদের অন্ধ অনুকরণ করা................................................. ৪০৩
১০. পীর-মুরীদীর অন্তরালে র্শিক ও বিদ‘আতের বিস্তার..................... ৪০৭
১১. মা‘ছূর যিকর ও দু‘আর পরিবর্তে বানানো অযীফাকে প্রাধান্য দেয়া..... ৪০৮
১২. ইলম চর্চার প্রতি অনীহা এবং নফলের প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ........ ৪১২
১৩. আত্মশুদ্ধির পরিবর্তে যিকর ও নফলকে মূল কাজ মনে করা............. ৪১৫
১৪. হাদীস বর্ণনায় অসতর্কতা.................................................... ৪১৮
১৫. আমলের মাত্রাতিরিক্ত ফযীলত বর্ণনা করা................................. ৪২৫
১৬. সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রম থেকে বিরত থাকা......................... ৪২৬
১৭. পীরদের নিজ নিজ আমলের ওপর আত্মতৃপ্তি............................. ৪২৮
১৮. অতিমাত্রায় গাম্ভীর্য রক্ষা ও নীরব থাকা.................................... ৪২৯
১৯. বুযুর্গী প্রকাশের মনোবৃত্তি.................................................... ৪৩১
২০. বুযুর্গীর অহমিকা.............................................................. ৪৩২
২১. নিন্দা ও তিরস্কার অর্জনের পথ অনুসরণ করা............................ ৪৩৩
২২. কৃচ্ছ্র সাধনা ও চরম ব্রতাচার................................................ ৪৩৫
২৩. গুদড়ি পরিধান করা.......................................................... ৪৪০
২৪. বিয়ে-শাদী ত্যাগ করা........................................................ ৪৪৩
২৫. আয়-রোজগার ছেড়ে দেওয়া................................................ ৪৪৬
২৬. কৃত্রিম বিনম্রতা ও দুর্বলতা প্রকাশ.......................................... ৪৪৯
২৭. অদ্ভূত ও অলৌকিক কর্মকা- সংঘটিত করা................................ ৪৫২
২৮. প্রভুর সন্ধানে পাহাড়ে-জঙ্গলে ঘুরাফেরা করা.............................. ৪৫২
২৯. চল্লিশ দিনের জন্য নির্জন স্থানে গমন করা................................. ৪৫৫
৩০. দুআ থেকে বিরত থাকা...................................................... ৪৫৬
৩১. বাতিনী সূফীদের বাতিনী নামায............................................ ৪৫৮
৩২. যিকরের সাথে সংশ্লিষ্ট বিদ‘আতসমূহ...................................... ৪৬০
ক. যিকরের সহীহ রূপ পরিবর্তন........................................ ৪৬০
ক.১. আল্লাহকে নতুন নতুন নামে ডাকা................................... ৪৬০
ক.২. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু-এর যিকরের মধ্যে বিকৃতি.................... ৪৬২
ক.৩. আল্লাহ শব্দের যিকর প্রসঙ্গ........................................... ৪৬৪
খ. যিকরের সময় সুনির্দিষ্ট নতুন রীতি অনুসরণ.......................... ৪৬৬
গ. যিকরের মাধ্যমে ফানা অর্জন........................................... ৪৬৭
ঘ. নির্জন ও বিচ্ছিনাবস্থায় যিকর........................................... ৪৬৮
ঙ. দীর্ঘক্ষণ যিকরে শ্বাস বন্ধ রাখা.......................................... ৪৬৯
চ. পাসে-আনফাস যিকর.................................................... ৪৬৯
ছ. কণ্ঠনালি দ্বারা যিকর করা................................................ ৪৭০
জ. কলব ও রূহ দ্বারা যিকর করা........................................... ৪৭০
ঝ. যিকরে সংখ্যার অতিরঞ্জন............................................... ৪৭০
৩৩. নফী-ইছবাতের যিকর ও ছয় লতীফার ব্যবহার........................... ৪৭১
৩৪. রাসূলুল্লাহ স. কিংবা অন্য কারো নামের যিকর প্রসঙ্গ.................. ৪৭৪
৩৫. উচ্চৈঃস্বরে যিকর (যিকরে জলী) প্রসঙ্গ..................................... ৭৭৪
৩৬. যিকরের মজলিসে চিল্লাচিল্লি ও লাফালাফি করা........................... ৪৮০
৩৭. মুরাকাবা-মুশাহাদা প্রসঙ্গ..................................................... ৪৮২
৩৮. সামা‘, কাওয়ালী............................................................. ৪৮৬
৩৯. পীর-মাশায়িখের অসীলা গ্রহণ.............................................. ৪৯১
৪০. কুকুর ও বিভিন্ন ইতর প্রাণীর অসীলা গ্রহণ............................... ৪৯২
৪১. ওলী-বুযুর্গদের নামে মান্নত করা........................................... ৪৯২
৪২. ওলী-বুযুর্গদের নিদর্শনাদি থেকে বরকত হাসিল করা প্রসঙ্গ.............. ৪৯৩
৪৩. ওলী-আল্লাহকে সিজদা করা................................................. ৪৯৮
৪৪. ওলী-আল্লাহর সামনে জমিতে চুমো খাওয়া................................ ৪৯৮
৪৫. স্বপ্নের চর্চা ও দলীল হিসেবে ব্যবহার...................................... ৪৯৯
৪৬. কাশফ ও ইলহামের চর্চা এবং দলীল হিসেবে ব্যবহার.................. ৪৯৯
৪৭. তরীকতকে বিভাজনের উপকরণে পরিণত করা.......................... ৫০০
৪৮. কৌশলে মুরীদ বানানো..................................................... ৫০২
৪৯. তরীকতকে ব্যবসায় পরিণত করা........................................... ৫০২
৫০. ইশ্ক শব্দের ব্যবহার........................................................ ৫০৫
গ্রন্থপঞ্জি................................................................................... ৫১১-৫৩৩
বইটির প্রচ্ছদ মূল্য-৬০০/-টাকা, ৩০% কমিশনে বইটি ৪২০/-টাকা। অর্ডার করতে ফোন করুন-02-223356762, 01761-855357
সার্বিক যোগাযোগ
বাংলাদেশ ইসলামিক ল’ রিসার্চ এন্ড লিগ্যাল এইড সেন্টার
৫৫/বি, পুরানা পল্টন, নোয়াখালী টাওয়ার, সুট-১৩/বি, লিফট-১২, ঢাকা-১০০০
ফোন : ০২- ২২৩৩৫৬৭৬২ , ০১৭৬১-৮৫৫৩৫৭ (WhatsApp) (অফিস সময়: সকাল-9.30-বিকাল 5.30)
E-mail : islamiclaw_bd@yahoo.com
শুক্রবারসহ সরকারী ছুটির দিন অফিস বন্ধ