ইসলামী আইন ও বিচার জার্নাল-এর ৪৯ তম সংখ্যা- জানুয়ারি-মার্চ-২০১৭

06:00:00

2341 বার পঠিত


ইসলামী আইন ও বিচার জার্নাল-এর ৪৯ তম সংখ্যা- জানুয়ারি-মার্চ-২০১৭

ইসলামী আইন ও বিচার, বর্ষ : ১৩ সংখ্যা : ৪৯

জানুয়ারি-মার্চ-২০১৭

মাক্বাসিদ আশ্-শারীয়াহ: পরিচিতি, ক্রমবিকাশ ও গুরুত্ব

Maqasid al-Shari'ah: Essence, Evolution and Significance

 Md. Habibur Rahman

International University Agadir, Morocco

Abstract

Maqasid al-Shari‘ah refers to the collective dignified objectives that have been achieved by the rulings of the Shari‘ah. This paper endeavors to make a preliminary study on Maqasid al-Shari‘ah. By using analytical and descriptive methods the paper demonstrates the definition, essence, evolution and significance of Maqasid al-Shari‘ah. Maqasid al-Shari‘ah is considered an integral part of Shari‘ah (Islamic law). The comprehension of the provisions of Islamic law is subject to the realization of Maqasid al-Shari‘ah. Maqasid al-Shari‘ah have been discussed in the holy Qura‘n, Sunnah, the pronouncements of the Companions, as well as in the scripts of earlier Muslim scholars. Imam al-Juwayni [419-478 AH], al-Ghazali [450-505 AH], al-Shatibi [D 790 AH], ‘Izz ibn Abd al-Salam [D 660 AH], etc. are some noteworthy scholars who inaugurated the discussion of Maqasid al-Shari‘ah. Al-Muwafaqat of al-Shatibi is considered the first book written on Maqasid al-Shari‘ah in particular. The prominent Muslim scholar Ibn Taymiyyah and his disciple Ibn Qayyim detailed further the principles of Maqasid al-Shari‘ah. The knowledge of Maqasid al-Shari‘ah is very instrumental in getting the shari (legal) solutions for the issues happen newly in the course of time. The command of Maqasid al-Shari‘ah is indispensable for mujtahid, mufti as well as for the researchers and learners of Islamic law.   
Keywords: Islamic law; Maqasid al-Shari‘ah; Maslahah; Well-being achieving; Hardship alleviation.

সারসংক্ষেপ: ইসলামী আইনের যাবতীয় বিধি-বিধানের মাধ্যমে যে সকল মহান লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে তাই হচ্ছে মাক্বাসিদ আশ্-শারীয়াহ। মাক্বাসিদ আশ্-শারীয়াহ’র প্রাথমিক বিশ্লেষণ নিয়ে বর্তমান প্রবন্ধের অবতারণা করা হয়েছে। বিশ্লেষণ ও বর্ণনামূলক পদ্ধতিতে রচিত বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে মাক্বাসিদ আশ্-শারীয়াহ’র পরিচিতি, ক্রমবিকাশ এবং গুরুত্ব ও তাৎপর্য আলোচনা করা হয়েছে। ইসলামী আইন সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে মাক্বাসিদ আশ্-শারীয়াহ। মাক্বাসিদ আশ্-শারীয়াহ’র জ্ঞানের ওপর ইসলামী আইনের বোধগম্যতা, প্রজ্ঞা, চিন্তার গভীরতা এবং গবেষণার ব্যাপ্তি ইত্যাদি নির্ভর করে থাকে। কুরআন-হাদীসে, সাহাবীগণের বক্তব্যে এবং পরবর্তীতে পূর্বসূরী মুসলিম স্কলারদের লিখনীতে মাক্বাসিদ আশ্-শারীয়াহ’র আলোচনা পাওয়া যায়। মুসলিম স্কলারদের মধ্যে যারা সর্বপ্রথম মাক্বাসিদ আশ্-শারীয়াহ নিয়ে কথা বলেছেন তাদের মধ্যে আল-জুওয়াইনী [৪১৯-৪৭৮ হি.], আল-গাযালী [৪৫০-৫০৫ হি.], আশ-শাতিবী [মৃ. ৭৯০ হি.], আল-ইয্য ইবনে আবদুস সালাম [মৃ. ৬৬০ খি.] রহ. প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। ইমাম আশ-শাতিবীর ‘আল-মুওয়াফাক্বাত’ শীর্ষক রচনা মাক্বাসিদ আশ্-শারীয়াহ’র ওপর সর্বপ্রথম স্বতন্ত্র গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত ও সুপরিচিত। যুগশ্রেষ্ঠ মুসলিম স্কলার ইবনে তাইমিয়াহ রহ. এবং তার সুযোগ্য শিষ্য ইবনুল কাইয়িম রহ. মাক্বাসিদ আশ্-শারীয়াহ’র আলোচনা ও বিশ্লেষণকে আরো প্রশস্ত ও বেগবান করেছেন। সময়ের আবর্তনে সংঘটিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান প্রদানের ক্ষেত্রে মাক্বাসিদ আশ্-শারীয়াহ’র জ্ঞান ও উপলব্ধি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মুজতাহিদ এবং মুফতী থেকে শুরু করে ইসলামী আইনের ছাত্র, শিক্ষক ও গবেষকসহ সকলের জন্য মাক্বাসিদ আশ্-শারীয়াহ’র জ্ঞান অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

মূলশব্দ: ইসলামী আইন; মাক্বাসিদ আশ্-শারীয়াহ; মাসলাহাহ; জনকল্যাণ সাধন; অকল্যাণ দূরীকরণ। 

ইসলামের উত্তরাধিকার আইনে নারীর অংশ: একটি পর্যালোচনা

Rights of Women in Islamic Law of Inheritance: An Analysis

Md. Shafiul Alam Bhuiyan

Associate Professor, International Islamic University Chittagong, Bangladesh

Abstract

The distinctive and the preeminent feature of the Islamic ideology is its law of Inheritance. Every minute detail is mentioned in this law, including how we are to lead our life with all the necessities throughout our life span and even after death, how property is to be distributed to the deserving ones and looked after, so no issue occurs. Of course, the law made by Islam is the most scientific and logical, since every thing is under the supervision of the Almighty Allah, Who is aware not only of the present but also of the future, the unseen- this law is made by Him. In this article, the only motive that has been indicated is respect and lineage of the women in society. Not only that she should not be deceived, but the relationship between men and women, and their needs, have been given the highest priority from the view point of Al-Qur'an, As-Sunnah and the legal documents of the modern Islamic law. Side by side, the security of the women is also mentioned here. It has also been proven that the women have been given the highest part of property in the law of Inheritance. It is to be noted that the method of description and comparative study of the topic mentioned has been analyzed in this text.
Keywords: islam; women; women's inheritance; law of inheritance. 

সারসংক্ষেপ: ইসলামী জীবন বিধানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও অপার সৌন্দর্য হলো এর উত্তরাধিকার আইন। এ আইনে মহান আল্লাহ মানুষের জীবদ্দশায় তার সকল প্রয়োজনের কথা যেমনিভাবে বিবেচনায় রেখেছেন, তেমনি তার মৃত্যুর পরও রেখে যাওয়া সম্পদ নিয়ে যেন কোনো বিশৃংখলা সৃষ্টি না হয় এবং প্রকৃত প্রাপকেরা যেন এর উত্তরাধিকারী হতে পারে সে লক্ষ্যে সুস্পষ্ট বিধান প্রবর্তন করেছেন। উত্তরাধিকারের ব্যাপারে ইসলামের বিধান নিঃসন্দেহে বিজ্ঞানসম্মত ও যৌক্তিক। কারণ এ বিধান বিশ্বজাহানের ঐ মহান স্রষ্টা কর্তৃক প্রণীত, যিনি মানুষের বর্তমান ভবিষ্যত সকল কিছুর স্রষ্টা। প্রবন্ধটিতে আল-কুরআন, আস্সুন্নাহ ও আধুনিক ইসলামী সাহিত্যের দালিলিক ও যৌক্তিক উপস্থাপনার ভিত্তিতে একথা প্রমাণের প্রয়াস চালানো হয়েছে যে, ইসলামী জীবন বিধানে মহিলাদেরকে কিংবা অন্য কাউকেই বঞ্চিতের তো প্রশ্নই আসে না; বরং নারী ও পুরুষ উভয়ের বেলায়ই তার প্রয়োজন ও চাহিদা এবং তার সাথে সম্পৃক্ত অন্যদের প্রয়োজন ও চাহিদাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে একজন নারীর আপদকালীন নিরাপত্তার কথাকেও বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। প্রবন্ধটিতে আরো প্রমাণ করা হয়েছে যে, সার্বিক বিবেচনায় ইসলামের উত্তরাধিকার আইনে একজন পুরুষকে নয়, বরং একজন নারীকেই অধিক অংশ দেয়া হয়েছে। প্রবন্ধটি প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে বর্ণনা, বিশ্লেষণ ও তুলনামূলক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে।]

মূলশব্দ: ইসলাম; নারী; নারীর উত্তরাধিকার; উত্তরাধিকার আইন।

ইসলাম ও প্রচলিত আইনে মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব নিরসন: একটি পর্যালোচনা  

Settlement of Employer-Labor Dispute in Islam and Existing Law: An Analysis

♦  Kamruzzaman Shamim Assistant Professor, Department of Arabic, University of Dhaka

♦  A.K.M. Muhibbullah Lecturer, Department of Islamic Studies, Asian University of Bangladesh

Abstract

History of Employer-Labor dispute is part of the ancient history of human society. To resolve this conflict, laws have been formulated in almost all countries of the world and the labor class have set up various organizations and institutions to represent their rights. International organizations such as the International Labor Organization (ILO), have been established to regulate the relationship between the employers and the workers. In Bangladesh too, law has been initiated with the target of taking care of the rights of employers and workers. In Bangladesh, the workers try to initiate various movements demanding reasonable payment, fixation of working hours and ensuring of a healthy working environment. On the other hand, employers try to dismiss workers' movements as incidents of disturbance and violence. As a result, there is a lack of effective steps for the development of relationship between employers and workers. In this situation, only Islamic law can resolve the dispute among them to ensure the rights of both the workers and owners. This article has provided an analysis of Islamic law and the law of Bangladesh to tackle employers and labors dispute following the analytical method. After that, evidence has been presented to prove that Islam is the most effective law to resolve this conflict.
Keywords: employer; laborer; labor dispute; settlement of dispute; employer-worker relationship.

সারসংক্ষেপ: মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্বের ইতিহাস মানব সমাজের এক সুপ্রাচীন ইতিহাস। এ দ্বন্দ্ব নিরসনে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই শ্রম নীতিমালা বা বিধি-বিধান প্রণীত হয়েছে এবং শ্রমিকশ্রেণি তাদের অধিকার আদায়ের জন্য বিভিন্ন সংগঠন গড়ে তুলেছে। আন্তর্জাতিকভাবেও মালিক-শ্রমিক সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষার নিমিত্তে International Labor Organization (ILO)  এর মত বির্ভিন্ন শ্রম সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশেও মালিক ও শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রাপ্তির লক্ষ্যে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আলোচ্য প্রবন্ধটিতে বর্ণনা ও বিশ্লেষণমূলক পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে মালিক ও শ্রমিকের দ্বন্দ্ব নিরসনে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও ইসলামের শাশ্বত বিধানের একটি পর্যালোচনা উপস্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি এ দ্বন্দ্ব নিরসনে ইসলামের কার্যকরী বিধানও তুলে ধরা হয়েছে। প্রবন্ধ থেকে প্রমাণিত হয়েছে, নানামুখী প্রচেষ্টা ও নীতি নির্ধারণের পরও  ন্যায্য মজুরি প্রাপ্তি, কর্মঘণ্টা নির্ণয়ন, স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নির্ধারণের মত মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিতকরণের দাবিতে প্রায়শই শ্রমিকরা আন্দোলন করে থাকে। পাশাপাশি মালিকগণ অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে নানা কৌশলে সেই আন্দোলন দমনে সচেষ্ট থাকে। ফলে মালিক ও শ্রমিকদের সম্পর্ক উন্নয়নে কার্যকরী ফলাফল পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এমতাবস্থায় একমাত্র ইসলামের শাশ্বত বিধানই পারে মালিক ও শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে।

মূলশব্দ: মালিক; শ্রমিক; শ্রম বিরোধ; বিরোধ নিষ্পত্তি; মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক।

সার্ভিস ইজারা এবং ইসলামী ব্যাংকিং-এ এর প্রয়োগ: একটি পর্যালোচনা

Service Ijara and Its Applications in Islamic Banking: An Analysis

Muhammad Munirul Islam Senior Principal Officer and Muraqib, First Security Islami Bank Limited

Abstract

Ijara is a popular method of investment in Islamic banking throughout the world. Service Ijāra is basically one type of Ijara, where several services are combined into a complete fees-based service package. Following this, the complete service package is rented to the client for a specified period of time as an investment for consumption. In the following article, the topics discussed include introduction to Ijara and service Ijara, evidence of Shari’ah compliance, difference between Ju’ala and service Ijara, the different contexts of application of service Ijara, etc. Employing a narrative and descriptive method, this research theoretically proves that service Ijara in Islami banking is Shari’ah compliant. Due to benefits for both the bank and customers in terms of practice, service Ijara is popular worldwide. Thus it is possible to further develop Islamic banking through wide application of this Shari’ah compliant service.
Keywords: service Ijara; ijaratul a‘mal; ijaratul ashkhas; personal financing; Islamic banking.

 

সারসংক্ষেপ: বিশ্বব্যাপী ইসলামী ব্যাংকসমূহে ইজারা একটি জনপ্রিয় বিনিয়োগ পদ্ধতির নাম। সার্ভিস ইজারা মূলত ইজারার একটি প্রকার। এতে খণ্ড খণ্ড সেবা একত্রিত করে একটি পূর্ণাঙ্গ ভাড়াযোগ্য সেবা প্রস্তুত করা হয়। অতঃপর উক্ত পূর্ণাঙ্গ সেবাটি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য গ্রাহকের নিকট ভাড়ার ভিত্তিতে ভোগাধিকারের জন্য বিনিয়োগ করা হয়।  আলোচ্য প্রবন্ধে ইজারা ও সার্ভিস ইজারার পরিচিতি, শরীআহসম্মত হওয়ার প্রমাণ, জিআলার সাথে সার্ভিস ইজারার পার্থক্য, সার্ভিস ইজারা প্রয়োগের বিভিন্ন ক্ষেত্র সম্পর্কে আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। বর্ণনা ও বিশ্লেষণমূলক ধারায় প্রণীত এ গবেষণাকর্ম থেকে প্রমাণিত হয়েছে, তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে ইসলামী ব্যাংকিং-এ অনুশীলিত সার্ভিস ইজারা পদ্ধতিটি শরীআহসম্মত। প্রায়োগিক দিক থেকে ব্যাংক ও গ্রাহক উভয়ের জন্য সুবিধাপূর্ণ হওয়ায় বিশ্বব্যাপী এর জনপ্রিয়তাও রয়েছে। অতএব, যথাযথ শরীআহ পরিপালন করে এ প্রডাক্টির ব্যাপক প্রসারের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকিংকে আরও সমৃদ্ধ করা সম্ভব।
মূলশব্দ: সার্ভিস ইজারা; ইজারাতুল আমাল; ইজারাতুল আশখাস; ব্যক্তিগত অর্থায়ন; ইসলামী ব্যাংকিং।

বাংলাদেশে মাদকাসক্তি বৃদ্ধির গতি-প্রকৃতি: ইসলামের দৃষ্টিতে উত্তরণের উপায় অন্বেষণ

The Rise of Drug Addiction in Bangladesh: Searching of Ways to Minimize this Problem in the Context of Islam

Jahirul Islam Lecturer, Islamic History & Culture, Cantonment College, Comilla, Bangladesh

Abstract

Although once drugs were once used for medicinal use for enjoyment and generating happy feelings, or as the erroneous recreation method to create tranquility, in the passage of time, it has emerged as a serious social problem and threat to mankind. This is why Islam, the safeguard for humanity, complete with codified laws, has announced the usage of drugs as ‘haram’ (forbidden), along with the rules for punishment to protect human conscience for the purpose of establishing a healthy and vigorous body, and an intellectual and creative society. Though various contemporary laws have been promulgated and are in effect, it has not been in control as per expectation. To control this crime, an integrated and harmonized system of both conventional and Islamic law is needed. This article has aimed to define Islamic perspective of drugs, and employs descriptive and explanatory methods in conducting this research. The article has showed that so called modernism and fashion, the effects of fundamentalism, lack of true religious practices, and laxity in religious observations are pushing the young generation to drug addiction at an alarming rate. In fact, in the present context, if the gradual increase in the number of drug addicts continues, soon our dear Bangladesh will turn into a backward and paralyzed nation.
Keywords: drug; yaba; bangladesh; al-qura’n; religious values.

সারসংক্ষেপ: মাদকদ্রব্য এক সময় চিকিৎসা ক্ষেত্রে কিংবা আনন্দ-উল্লাস ও খোশ মেজাজে থাকার অনুভূতি এবং প্রশান্তি সৃষ্টির ভ্রান্ত বিনোদন হিসেবে ব্যবহৃত হলেও কালের চক্রে তা এখন মানব জাতির জন্য হুমকি এবং ভয়াবহ সামাজিক সমস্যা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এ কারণেই মানবতার রক্ষাকবচ ইসলাম মানুষের বিবেধ-বুদ্ধিকে হিফাজতের জন্য সুস্থ ও সবল দেহ, মেধা ও মননশীল সমাজ বিনির্মাণের উদ্দেশ্যে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার চিরতরে হারাম ঘোষণা করে শাস্তির বিধান রেখে বিধিবদ্ধ আইন প্রণয়ন করেছে। প্রচলিত নানা আইন দিয়ে কাক্সিক্ষত মাত্রায় এর প্রতিরোধ সম্ভব হচ্ছে না। এ অপরাধের লাগাম টেনে ধরার জন্য প্রচলিত ও ইসলামী আইনের আলোকে একটি সমন্বিত ব্যবস্থার প্রয়োজন। মাদকের প্রতি ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি বর্ণনার উদ্দেশ্যেই আলোচ্য প্রবন্ধটি প্রণীত হয়েছে। এ গবেষণায় বর্ণনা, বিশ্লেষণ ও তুলনামূলক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। প্রবন্ধ থেকে প্রতীয়মান হয়েছে, তথাকথিত আধুনিকতা ও ফ্যাশনের নামে কিংবা ধর্মান্ধতার কুফলের দোহাই দিয়ে প্রকৃত ধর্মচর্চা তথা ধর্মীয় অনুশাসন পালনের ক্ষেত্রে শিথিলতা এবং অনেক ক্ষেত্রে অবচেতন হওয়ার কারণেই আমাদের তরুণ প্রজন্ম আশঙ্কাজনক হারে মাদকাসক্তির প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। দেশে মাদকাসক্তি ক্রমবিস্তারের বিদ্যমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে অচিরেই আমরা একটি পশ্চাৎপদ ও পঙ্গু জাতিতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মূলশব্দ: মাদক; ইয়াবা; বাংলাদেশ; আল-কুরআন; ধর্মীয় মূল্যবোধ।

বিস্তারিত জানতে “ইসলামী আইন ও বিচার জার্নাল” অনলাইন ভার্সন  ভিজিট করুন-http://www.islamiainobichar.com/index.php/iab/issue/view/10