تخفيضات!

ইসলামের ব্যবসায় ও বাণিজ্য আইন-৩ (পেপারব্যাক)

السعر الأصلي هو: 650.00৳ .السعر الحالي هو: 455.00৳ .

“মুখবন্ধ”: بسم الله الرحمن الرحيم ‘আইনের শাসন’ আজ বিশ্বব্যাপী পরম কাক্ষিত। সুবিচার বর্তমানে মানবজাতির প্রধান কাম্য বিষয়। আইনের শাসন-এর অর্থ আইন থাকবে সবার উধ্বে। আই… See more

حالة التوفر: 99 متوفر في المخزون

رمز المنتج: IFAB003 التصنيف:

‘আইনের শাসন’ আজ বিশ্বব্যাপী পরম কাঙ্ক্ষিত। সুবিচার বর্তমানে মানবজাতির প্রধান কাম্য বিষয়। আইনের শাসন-এর অর্থ আইন থাকবে সবার ঊর্ধ্বে। আইন চলবে তার নিজস্ব গতিতে। আইনের চোখে ছোট বড় সবাই থাকবে সমান। ক্ষমতা, আভিজাত্য, অর্থ বা অন্য কিছুর প্রভাব আইনের গতি রোধ করবে না। সুবিচার-এর অর্থ হলো, দুর্বলতম ব্যক্তির অধিকার পাইয়ে দেয়ার দায় কাঁধে নেয়া এবং সবলের অন্যায় প্রতিহত করা। জুলুম ও অপরাধ দমন করা, সাধারণ নাগরিকের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আইন সম্পূর্ক স্বচ্চ থাকা।

সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য কেবল বিচার ব্যবস্থাই যথেষ্ট নয়। শুধু আইন, আইনের শাসন নিশ্চিত করে না। আইন ও বিচার থাকলেও অনেক সময় দেখা যায় সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা, সুনীতি ও সম্ভাবের বিকাশ সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে আইন ও বিচারব্যবস্থা একটি জরুরি ব্যবস্থাপত্র মাত্র। মূল কাজটি হচ্ছে, সকল নাগরিকের মাঝে আইন মানার মানসিকতা তৈরি করা।

ন্যায়পরায়ণতা, দেশপ্রেম, শান্তিপ্রিয়তা, মানবিক চেতনা ও বিবেচনাবোধ ইত্যাদি মানুষকে সৎ থাকতে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে বড় সহায়ক হচ্ছে ধর্মীয় বিশ্বাস। এ বিশ্বাসই মানুষকে খোদাভীতির মাধ্যমে নিজকে নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দিয়ে থাকে এবং আখেরাতে জবাবদিহিতার চিন্তা একজন মানুষের মধ্যে মজবুত দায়বদ্ধতা সৃষ্টি করে। এ ছাড়াও আরো অনেক প্রেরণাদায়ী বিষয়ও মানুষের বিবেচনার ক্ষেত্রে নৈতিকতার শক্ত ভিত গড়ে দিতে পারে। তখনই কেবল এ মানুষটি থেকে অন্য মানুষ নিরাপদ থাকতে পারে। বিচার ও শাসনকার্যেও ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখার জন্য নৈতিকতার প্রেরণা অপরিহার্য। ‘বাংলাদেশ ইসলামিক ল’ রিসার্চ এন্ড লিগ্যাল এইড সেন্টার’ গণমানুষের মধ্যে এই নৈতিক প্রেরণা জাগ্রত করার জন্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

ইসলামী আইনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি নৈতিকতা ভিত্তিক আইন (Law Based on Moral Values)। গণমানুষের মধ্যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ জাগ্রত হলে তারা আইন মানার জন্যে প্রস্তুত থাকে। ফলে আইনের প্রয়োগ সহজ হয়। স্বপ্নবৃত্ত হয়ে মানুষ আইন পালন করে এবং অন্যকেও আইন মানতে উজ্জীবিত করে। আইনভঙ্গের প্রবণতা নিম্নতম মাত্রায় চলে আসে।

ইদানিং বাংলাদেশে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত অপরাধের ক্ষেত্রে নতুন নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। অপরাধ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ নৈতিক অবক্ষয় ও এর বিস্তার। নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে নারী ও শিশু নির্যাতনের ভয়ংকর রূপ প্রতিভাত হচ্ছে। অপরাধ বৃদ্ধির কারণে বাড়ছে মামলা, বাড়ছে বিচারপ্রার্থীর সংখ্যা। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা এবং প্রতিদিন নতুন নতুন মামলা সৃষ্টি হওয়ার কারণে মামলার জট ক্রমশ বেড়েই চলেছে। অপরদিকে বিচার সম্পর্কে লোকজনের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নানা ধরনের সংশয় ও হতাশা। জেলখানায় কয়েদী ও হাজতীদের সংখ্যা বর্তমানে ধারণ ক্ষমতার বাইরে। সেখানে তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত। উপরিউক্ত যাবতীয় সমস্যা নিরসনকল্পে আমরা মনে করি, ইসলামী বিচারব্যবস্থা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি, আল্লাহর কিতাব এবং রাসূলুল্লাহ স.-এর সুন্নাহ-এর আলোকে শাসক, বিচারক, আইনজীবী, বাদী, বিবাদী ও সাক্ষীসহ সর্বস্তরের নাগরিকদের মানসিক ও নৈতিকবৃত্তিকে উজ্জীবিত ও শক্তিশালী করার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে উপরিউক্ত পাহাড়সম সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

আল্লাহর বিধান সকল মুসলিমের জন্য অবশ্য পালনীয়। ধর্ম-বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠি নির্বিশেষে সকল মানুষের অধিকার রক্ষা করা সকল মুসলিমের কর্তব্য। ইসলামী আইন ও বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে দেশের জনগণকে অবহিত করা এবং ইসলামী আইন ও বিচারের আলোকে জনগণের ন্যায় ও সুবিচার পাওয়ার অধিকার সহজতর করার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৫ সালে ‘বাংলাদেশ ইসলামিক ল’ রিসার্চ এন্ড লিগ্যাল এইড সেন্টার’ প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থার কর্মসূচির অন্যতম অংশ হচ্ছে, ইসলামী আইন ও বিচারব্যবস্থার উপযোগিতা ও সামষ্টিক কল্যাণ নিয়ে গবেষণা ও প্রকাশনা। সংস্থা ‘ইসলামী আইন ও বিচার’ নামে একটি ত্রৈমাসিক গবেষণা পত্রিকা প্রকাশ করে আসছে। সেই সাথে তুলনামূলক আইনবিষয়ক পুস্তক প্রকাশের কাজও করছে। ইতোমধ্যে এ সংস্থা ইসলামী আইন সংক্রান্ত প্রায় কুড়িটি পুস্তক প্রকাশ করেছে।

৪৫ খণ্ডে সমাপ্ত ‘আল-মাওস্’আতুল ফিকহিয়্যাহ’ একটি বিশাল কর্ম। এটিই সম্ভবত বিশ্বের সর্বাপেক্ষা সমৃদ্ধ ফিকহী প্রকাশনা। আমরা ইতোপূর্বে এই বিশাল সাগর থেকে “ইসলামের পারিবারিক আইন” শীর্ষক ২টি খণ্ড প্রকাশ করেছি। এগুলো বোদ্ধা মহলে ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে। আল-মাওলু’আতুল ফিকহিয়্যাহ-প্রকল্পের দ্বিতীয় পদক্ষেপ “ইসলামের ব্যবসায় ও বাণিজ্য আইন” ১ম ও ২য় খণ্ড ইতোমধ্যে ব্যাংকিং ও একাডেমিক সেক্টরে ব্যাপকভাবে আদৃত হয়েছে। এই সিরিজের তৃতীয় খণ্ডের কাজ সমাপ্ত করতে

পারায় মহান আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করছি। এটিতে ২৯টি ভুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাংলাভাষায় দালিলিক প্রমাণসহ ইসলামী আইন বিষয়ক প্রকাশনা অপ্রতুল। যেগুলো আছে সেগুলোর অধিকাংশই ফিরে পাঠ্য গ্রন্থাদির অনুবাদ। সেগুলো সাধারণ পাঠকের জন্য সহজবোধ্যও নয়। এ পুস্তকটিতে অন্তর্ভুক্ত ব্যবসায় ও বাণিজ্য সম্পর্কিত প্রত্যেকটি বিষয়ের ইংরেজি প্রতিশব্দ এবং প্রসিদ্ধ মাযহাবগুলোর বক্তব্য দলিল-প্রমাণসহ উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে সম্মানিত পাঠকগণ এখানে সব মাযহাবের ভাষ্য একসাথে পাবেন।

ইসলামী শিক্ষা ও জ্ঞানের জগতে ‘আল-মাওসূ’আতুল ফিকহিয়্যাহ’ যেমন অনন্য অর্জন, এর বাংলা ভাষ্য ‘ইসলামী ফিক্হ বিশ্বকোষ’ও বাংলা সাহিত্যে এক অসাধারণ ও অপূর্ব সংযোজন। আমাদের জ্ঞানসাধনার জগৎ এ ধরনের অনবদ্য অবদানে ঋদ্ধ হোক। আলোক অন্বেষী শিক্ষিত প্রজন্ম খুঁজে পাক সাফল্যের ঠিকানা। ইসলামের কল্যাণময় জীবনব্যবস্থার দিক-দর্শন আধুনিক সমাজে প্রচারের কাজে নিয়োজিত ‘বাংলাদেশ ইসলামিক ল’ রিসার্চ এন্ড লিগ্যাল এইড সেন্টার’ তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের পথে সাফল্যের শীর্ষবিন্দু স্পর্শ করুক- গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকাশনার শুভ মুহূর্তে মহান রাব্বুল ‘আলামীনের দরবারে এই আমাদের প্রার্থনা। উল্লেখ্য যে, আল-মাওস্’আতুল ফিকহিয়্যাতে কেবল প্রাচীন ফিকহবিদদের মতামত বিবৃত হয়েছে। বিশেষভাবে আধুনিককালের যারা ফিকহের ক্ষেত্রে কাজ করেছেন যেমন মুহাম্মদ আল-গাজালী, ড. ইউসুফ আল-কারযাভী, ড. ওহাবাহ আয-যুহাইলী, ড. আবু যাহরা, আব্দুল্লাহ বিন বায, মুহাম্মদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন, বিচারপতি তাকী উসমানী, মুজাহিদুল ইসলাম কাসেমী, হাসান তুরাবী প্রমুখের ফিকহী মতামত তাদের ফতোয়ার গ্রন্থসমূহে পাওয়া যাবে।

সম্পাদনা পরিষদ

বই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- ইসলামের ব্যবসায় ও বাণিজ্য আইন-(৩য় খণ্ড)

Weight

160gm

المراجعات

لا توجد مراجعات بعد.

كن أول من يقيم “ইসলামের ব্যবসায় ও বাণিজ্য আইন-৩ (পেপারব্যাক)”

لن يتم نشر عنوان بريدك الإلكتروني. الحقول الإلزامية مشار إليها بـ *

ইসলামের ব্যবসায় ও বাণিজ্য আইন-৩ (পেপারব্যাক)ইসলামের ব্যবসায় ও বাণিজ্য আইন-৩ (পেপারব্যাক)
السعر الأصلي هو: 650.00৳ .السعر الحالي هو: 455.00৳ .

حالة التوفر: 99 متوفر في المخزون

Scroll to Top