আলহামদু লিল্লাহ। আল্লাহ তাআলার অশেষ মেহেরবানীতে “বিশ্বখ্যাত মনীষীদের রচনায় ইসলামী আইন” শীর্ষক দুখণ্ডের রচনাবলি ছাপার কাছ সম্পন্ন হয়েছে প্রকাশনার এই শুভলগ্নে এ কাজে জড়িত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের জন্যে উত্তম প্রতিদান কামনা করছি।
এই দুনিয়াটা যেমন এমনিতে অস্তিত্ব লাভ করেনি, তদ্রূপ উদ্দেশ্যহীনভাবেও এই ভূমণ্ডল ও নভোমণ্ডল সৃষ্টি করা হয়নি। মহান আল্লাহ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় দুনিয়া ও মানব সভ্যতা সৃষ্টির উদ্দেশ্য এবং দুনিয়ায় তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য ঘোষণা করেছেন।
দুনিয়ায় মানবমণ্ডলী যাতে মহান স্রষ্টাকে বিস্মৃত হয়ে বিপথে চলে না যায় সেজনে আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে নবী রাসূল প্রেরণ করেছেন। আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উত্তরাধিকারী হিসেবে উলামায়ে কিরাম তথা মুসলিম স্কলারাণ সেই নবীওয়ালা দায়িত্বের ভার বহন করছেন। তাঁরাই যুগে যুগে মানবমণ্ডলী বিশেষ করে মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর উদ্দেশ্য অনুযায়ী জীবন পরিচালনার জন্যে তাদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও দিকনির্দেশনা লিখনীর মাধ্যমে অবহিত করেছেন যেগুলোকে কেন্দ্র করে দেশে দেশে গড়ে ওঠেছে নানান একাডেমিক ইস্টিটিউশন।
বর্তমান বিশ্বে ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে যতোটা প্রচার-প্রচারণা, বাক-বিতণ্ডা হয় অন্য কোন ধর্মমত কিংবা মতাদর্শ ও অনুসারীদের নিয়ে আলোচনা সমালোচনা ততোট সরগরম নয়।
বর্তমান ফুা বিজ্ঞানের ফুা। প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও বাস্তবতার মানদণ্ডে যাচাই এবং নিরীক্ষার ফুা। যুক্তি প্রমাণ ও বিষয়জ্ঞান ছাড়া কারো বক্তব্য বর্তমান যুগে গ্রহণযোগ্যতা পায়না।
এ প্রেক্ষিতে ইসলামী আইন সম্পর্কে বিশ্বের স্বীকৃত ব্যক্তিদের চিন্তা ও রচনাবলি বাংলায় প্রকাশ করার মাধ্যমে চিন্তাশীলদের দৃষ্টি আকর্ষণের আশা করছি।
যতদিন আমাদের দেশে ইসলাম সম্পর্কে সামগ্রিক অধ্যয়ন ব্যাপকতা না পাবে ততোদিন এ সম্পর্কিত সামাজিক বিভ্রান্তির অপনোদন সম্ভব নয়।
ইসলামী আইনের কল্যাণ, স্থায়িত্ব ও সৌন্দর্য জনসম্মুখে বিকশিত করতে হলে অবশ্যই আমাদের খোলা মনে উদার দৃষ্টিতে ইসলামের মর্মবাণী গভীরভাবে অধ্যয়ন করতে হবে। এ গ্রন্থে পরিবেশিত খ্যাতিমান মনীষীদের রচনাবলি ইসলাম সম্পর্কে জানার ও গভীরে পৌঁছার পথ দেখাবে বলে আমাদের বিশ্বাস। মহান আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর নির্দেশাবলি অনুধাবন ও অনুসরণের তাওফীক দিন। আমিন।
বইটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন-ইসলামী আইন-১ম খণ্ড সূচিপত্র